কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বাংলা নববর্ষের দিনে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে পাশবিক শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
স্ত্রী, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিলেও অজ্ঞাত কারনে মামলা রেকর্ড না করায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে । জানা গেছে গত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন দুপুরে স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে সৌদি প্রবাসী কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হবিবর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (৪৫) স্ত্রী হালিমা বেগমের (৩০) এর গোপনাঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হাত পা বেধে মধ্য যুগীয় কায়দায় পাশবিক শারীরিক নির্যাতন চালায়।
আত'চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও পাশবিক নির্যাতন থামেনি। প্রত্যক্ষদশী ৫ বছরের শিশু সন্তান জানান, তার মাকে দুই হাত বেঁধে রাঁন্নার চামুচ গরম করে ছেঁকা দেয় তার বাবা সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বাবু। বিষয়টি জানাজানি হলে ঐ দিন রাতেই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে স্বামী আনোয়ার হোসেন বাবু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে মোবাইলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ফলে চিকিৎসা শেষে চিলমারী থানায় অভিযোগ করলেও অজ্ঞাত কারনে মামলা দয়ের না হওয়ায় মেয়েটির পরিবার চরম হতাশায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হালিমা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে আমাকে মারধরের এক পর্যায় দুই হাত পাঁ বেঁধে উলঙ্গ করে পেট ও গোপনাঙ্গসহ হাঁটুর উপরের বিভিন্ন চামুচ খুন্তি গরম করে মধ্যযোগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ফলে আমি অসুস্থ হয়ে পরলে নিকটস্থ চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে গেলে বাধা প্রদান করে। পরে আমি উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। বিচার চাওয়ায় স্বামী আনোয়ার হোসেন বাবু আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আর রহিম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসার প্রস্তুতি চলছে। একটি মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।