জমিতে ছাগলের ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোক জনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই গ্রামের অন্তত দশ জন আহত হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলার, বাঙ্গরা বাজার থানা ধীন ও দিঘীরপাড় গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হলেন মুরাদনগর কুড়াখাল গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে কামরুল হাসান(৬০) তার ছেলে হৃদয় সরকার (২৫)কাজল, গ্রামের আলম, সিয়াম, বশির এবং দিঘিরপার গ্রামের অহেদ মুন্সির ছেলে কাজী ইসমাইলের ছেলে, হৃদয় কাজী, কাজী আহমেদের ছেলে, জুয়েল কাজী, মুনাফ মুন্সির ছেলে, বশির মুন্সী।
জানা যায় কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান, কুড়া খাল দিঘীরপাড় বিলের জমিতে তার গৃহপালিত ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়, এ সময় পার্শ্ববর্তী দিঘির পাড় গ্রামের সজীব মুন্সী, তার জমিনের ঘাস কেটে নেয়ার অভিযোগ এনে কামরুল হাসানকে মারধর করে, কামরুল হাসানকে বাঁচাতে, তার ছেলে হৃদয় হাসান সরকার লোকজন নিয়ে আসলে, সজীব মুন্সি মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে দিঘীরপাড় গ্রামের লোকজনকে এনে প্রায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শুরু হয়তুমুল, হাতাহাতি মারামারি।
এতে গুরুতর আহত হয় কুড়াখাল গ্রামের কামরুল হাসান, তার ছেলে হৃদয় হাসান সরকার, কাজল, আলম ও সিয়াম।
মারধরের শিকার কামরুল হাসান জানান বিকেল বেলায় কয়েকটি ছাগল গিয়ে মাঠের ফাঁকা জায়গায় ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, মুজিব মুন্সী তার ঘাস খাওয়ানোর মিথ্যা অভিযোগ এনে মারধর করে সজীব এতেও সান্ত বা ক্ষ্যান্ত না হয়ে, তার গ্রামের লোকজন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেতার গ্রামের লোকজন জড়ো করে, কামরুল হাসান, তার ছেলে হৃদয়,কাজলকে বেধম মারধর করতে থাকে।
অভিযুক্ত সজীব মুন্সী বলেন, আমি বিলেএকটি ঘাস খেতে করেছি, প্রায় প্রতিদিনই আমার অজান্তে আমার ঘাস ক্ষেত থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যায়এবং ১০ থেকে ১২ টি ছাগল দিয়ে তার জমিতে ঘাস খাইতেছিল, তাকে বাধা দিলে বাড়িতে লোকজনকে ডেকে এনে, আমাকে মার ধরের চেষ্টা করলে, আমি নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে লোকজনকে নিয়ে এসে তাদের সাথে প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও সি) মাহফুজুর রহমান বলেন ছাগলের ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনাটি ঘটে এক পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছে, আমি তাহার অভিযোগ গ্রহণ করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।