জামালপুর সদর থানাধীন হাটচন্দ্রা এলাকার এক নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪৪ ঘণ্টার পূর্বেই মূল আসামি মোঃ মঞ্জু শেখ (৪৩), পিতা-মোঃ তোতা মিয়া, পালক পিতা-মোঃ কামরুল ইসলাম, সাং-হাটচন্দ্রা, থানা ও জেলা-জামালপুর কে গ্রেফতার করেছে জামালপুর সদর থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ১৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯:৩০ ঘটিকায় বাদী মোঃ জীবন (৩০), পিতা-মোঃ কামরুল ইসলাম, হাটচন্দ্রা, জামালপুর এর মাতার বসতবাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মৃত মঞ্জিলা বেগম  জিরা (৬০), যিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার মূল কারণ ছিল বাড়ির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধ। অভিযুক্ত মোঃ মঞ্জু শেখ তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে একটি ধারালো ডেগার দিয়ে ১নং সাক্ষী মোঃ মন্ডল আলীকে পেটে আঘাত করে এবং মাকে বাঁচাতে এলে মাতা মঞ্জিলা বেগম জিরাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১নং সাক্ষী গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
পুলিশি অভিযান ঘটনার পরপরই জামালপুর সদর থানা পুলিশ তদন্তে নামে এবং প্রাপ্ত তথ্য ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ১৭-০৪-২০২৫ ইং তারিখ ভোর ৬:০৫ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানাধীন নাওভাঙ্গার চর দক্ষিণ পাড়া গ্রাম থেকে হত্যাকারী মোঃ মঞ্জু শেখ কে গ্রেফতার করে।
অভিযান পরিচালনায় নির্দেশনা দেন: সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, জামালপুর এবং ইয়াহিয়া আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল, অতিরিক্ত দায়িত্বে ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এর নির্দেশনায় জনাব আবু ফয়সাল মোঃ আতিক, অফিসার ইনচার্জ, জামালপুর সদর থানা এর তত্ত্বাবধানে এসআই মোঃ সাদেকুজ্জামান ভূইয়া নেতৃত্বে জামালপুর সদর থানা পুলিশের সমন্বিত একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনার পর জামালপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র (ডেগার) জব্দ করে এবং যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম( পিপিএম সেবা) বলেন জামালপুরে সংঘটিত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমাদের সমাজে অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়। হত্যার ঘটনার পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় তদন্ত ও গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি এবং ৪৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই — যা জামালপুর জেলা পুলিশের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার একটি জীবন্ত প্রমাণ। আমাদের এই সাফল্যের পেছনে ছিল সদর থানা পুলিশের পেশাদারিত্ব, প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা কাজ, এবং জনগণের সহযোগিতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে জামালপুর জেলা পুলিশ সদা সতর্ক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।আমি বিশ্বাস করি, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।