নেত্রকোনার মদনে জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে আহত মেহেদী হাসান নবাবের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নবাব বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে মদন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুজ্জামান সিফাত নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ নুরুজ্জামান সিফাত মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ কদ্দুছের ছেলে ও মৈধাম গ্রামের বাসিন্দা।
মেহেদী হাসান নবাব একই গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে। সে চানগাঁও ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। সে ছাত্র জনতার
আন্দলোনে আহত হয়ে জুলাই চোখের দৃষ্টি হারিয়ে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে গ্যাজেট ভুক্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান নবাব ও নুরুজ্জামান সিফাতের বাড়ি একই গ্রামে। তাদের মধ্যে পূর্ব থেকেই বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেদী হাসান নবাব তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় পুকুর পাড়ে বসে ছিল। হঠাৎ সিফাত তার লোকজন নিয়ে নবাবের ওপর হামলা করে। পরে প্রতিবেশী লোকজন সিফাতকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় রাতেই মেহেদী হাসান নবাব বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নুরুজ্জামান সিফাত কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হবে।
তবে নুরুজ্জামান সিফাতের স্বজনরা জানান, ' নবাবদের সঙ্গে তাদের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নবাবের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, ' এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নেত্রকোনার আদালতে পাঠানো হয়েছে। '