জানা যায়, তিনি উপজেলা পরিষদে একটি মিটিংয়ে অংশ নিয়ে বের হওয়ার সময় টুঙ্গিপাড়া থানার একটি চৌকস টিম, ওসি খোরশেদ আলম এর নির্দেশে তাকে আটক করে। গ্রেপ্তারের নেতৃত্ব দেন এসআই মনির হোসেন সঙ্গে ছিলেন এএসআই খালেকুজ্জামান।
সামাদ মুন্সী,পিতা মৃত ছবের মুন্সি, গ্রাম দক্ষিণ বর্নি ইউনিয়ন বর্নি, টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
পুলিশ জানায়, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলা নং টুঙ্গী-২ দায়ের করা হয়েছিল ০৩-২-২০২৫ গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় টুঙ্গীপাড়া তৎকালীন খান সাহেব শেখ মোশারফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ৬/১০/১২ ও ১৩ ধারায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা ও পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী ১০৫ জনকে এজাহার ভুক্ত ও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা রুজু করে। সামাদ মুন্সিকে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রেখে ছিলেন। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সন্ত্রাস বিরুদ্ধে আইন মামলার আই ও, মনির হোসেন জানান এই মামলায় প্রায় ৩০ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, “তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গোপালগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।”
গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই গ্রেপ্তারের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে, আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি ন্যায়সঙ্গত আইনি পদক্ষেপ।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, কেউ অপরাধ করলে তার পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু নেতা বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও অনেকেই ভেতরে ভেতরে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে টুঙ্গিপাড়া থানা বলছে, “আমরা দল নয়, অপরাধী দেখি।