দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে আল আমিন (১৮) নামে এক কৃষককে বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ছয় ঘন্টা পর ফেরত দিয়েছে।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত এলাকার বাংলাদেশ অভ্যন্তর থেকে আল আমিন (১৮) নামে এক কৃষককে বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ছয় ঘন্টা পর ফেরত দিয়েছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে  বিজিবি'র পক্ষ থেকে  তৎক্ষণাৎ ঘটনায় জোর প্রতিবাদ করে বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত চেয়ে পতাকা পাঠকের প্রস্তাব দেয়। ‌ বিকেল সাড়ে তিনটায় বিজেপি বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পর বিকেল সাড়ে চারটায় আল-আমিনকে ফেরত দেয় বিএসেফ। কৃষক আলামিন উপজেলার ধর্ম্মপুর ইউপি’র দ্বীপনগর গ্রামের আইজ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়- শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি)  সকাল সাড়ে দশটা বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার দ্বীপ নগর গ্রামে সীমান্ত সংলগ্ন নিজেদের জমিতে কাজ করার সময় ৯১ বিএসএফ -এর গোবরাবিল বিওপির বিএসএফ-এর ৬/৭ জন বিএসএফ  হঠাৎ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সীমান্তের ৩০০ গজ ভেতর থেকে আল আমিনকে জোর করে তুলে নিয়ে চলে যায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসীসহ টহল বিজিবি এগিয়ে আসলেও তার আগেই দ্রুত তাদের সীমানায় নিয়ে চলে যায়। এদিকে ঘটনার পর পরই বিজিবি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে আল-আমিনকে ফেরত দিতে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটায় বিজিবি-বিএসএফ ঘটনাস্থলের অদূরে পতাকা বৈঠকে বসে। বিকেল সাড়ে চারটায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান উল ইসলাম এবং ভারতের বিএসএফ এর পক্ষে ৯০ বিএসএফ কমান্ডিং অফিসার বিপিন কুমার। বৈঠক শেষে দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহসানুল ইসলাম বলেন,  ‘পাঁচজন বাংলাদেশী কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বিএসএফ ধারণা করেছিল, সীমান্তের আশপাশে থাকা কেউ তাঁদের সহযোগিতা করেছেন। সে সময় আলামিন নামের এক বাংলাদেশী তরুণ সীমান্তের খুব কাছাকাছি ছিল। তারা আলামিনকে সহযোগী ভেবে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমাদের পতাকা বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। বিকেল সোয়া চারটায় আলামিনকে তারা ফেরত দিয়েছেন।’ ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁকেও বিএসএফের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে কৃষক ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় আতংকসহ থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এবং বর্তমানে থমথমে রয়েছে পরিস্থিতি।