সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে স্টোন ক্রাশার মিল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উচ্ছেদ অভিযানের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিল এলাকা পরিদর্শন করে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী উচ্ছেদ কার্যক্রমের কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “ধোপাগুলের এই পাথর মিল এলাকায় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখানে যদি মিলগুলো ভেঙে ফেলা হয়, তাহলে এসব শ্রমিক ও ব্যবসায়ী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিলেটে এমনিতেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। তাই এ বিষয়ে মানবিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।”
এসময় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ধোপাগুল, মহালদিক, আটকিয়ারি, লালবাগ ও ছালিয়া এলাকায় বহু পাথর ক্রাশার মিল গড়ে উঠেছে। মিল মালিকরা অনেকেই ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। স্থানীয় কোয়ারি বন্ধ থাকায় তারা বিদেশ থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি করে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ভিত্তিতে এসব ব্যবসা পরিচালিত হলেও, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের একটি দল পুলিশ ফোর্সসহ পুরো এলাকা থেকে সকল মিল উচ্ছেদ করে, যা প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে এবং তারা এ ঘটনার উপযুক্ত প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের আশঙ্কা, পাথর মিল উচ্ছেদের ফলে দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে গেছে এবং হাজারো মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।