নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রায় ৭০ হাজার ৭শত ৩৩টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রায় ৭০ হাজার ৭শত ৩৩টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ বছরেও উপজেলার চাহিদার প্রায় দ্বিগুন গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। অতিরিক্ত পশু উপজেলার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। কোরবানি যত ঘনিয়ে আসছে খামারিরা ততোটা তাদের খামারের গবাদিপশু পরিচর্যা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে উপজেলায় ছোট বড় মোট ৩ হাজার ৩২৮ খামারিদের থেকে প্রায় ৭০ হাজার ৭শত ৩৩টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। মোট চাহিদা এবারে ৪০ হাজার ১৮টি পশু। ফলে উপজেলার চাহিদা মেটানোর পরেও ৩০ হাজার ৭১৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব খামারে ষাঁড় গরু রয়েছে ৭ হাজার ৮৭৭টি, বলদ গরু রয়েছে ১হাজার ৭৭১টি, গাভী গরু রয়েছে ৯হাজার ৯৮৯টি, মহিষ রয়েছে ৭১৩টি, ছাগল রয়েছে ৪৩ হাজার ৪৯৪টি ও ভেড়া রয়েছে ৬ হাজার ৮৮৭টি। উপজেলায় খামারিদের পাশাপাশি প্রায় সকল পরিবারে ব্যক্তি উদ্যোগে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে থাকেন।

এস.এস. এগ্রো ফার্ম এর মালিক আরাফাত রহমান বলেন, আমি ধামইরহাট উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায় মোল্লাপাড়া গ্রামে আমার বাড়ির পার্শে প্রায় ১৮-১৯ বছর পূর্ব থেকে মাত্র ১০-১২টি গরু নিয়ে শখের বসে খামার তৈরি করি। সেই থেকে শুরু বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৭০-৮০ টি বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে আমার খামারে এবার ৬২টি বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াজেদ আলী জানান, উপজেলায় এবারে কোরববানিতে গবাদি পশুর কোন ঘাটতি নেই। কোরবানি পশু সুস্থ ও সঠিক গরু চেনার পাশাপাশি হালাল জবাইয়ের প্রক্রিয়াসহ সঠিকভাবে পশুর চামড়া ছড়ানোর নিয়ম এবং স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপরে প্রাণিসম্পদ  অধিদপ্তরের  পক্ষে থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি পশুর হাট-বাজারে আমাদের প্রাণিসম্পদ টিম সাধ্যমতো মনিটরিং ভুমিকা পালন করবে পাশাপাশি স্থায়ী এবং অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবেন।