আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে (১১-৫-২০২৫) শুক্রবার কালিয়া থানায় বাবরা হাচলা ইউনিয়নে মধ্যেযুগীয় কায়দায় যে গ্রাম্য কোন্দল কাইজা সংঘটিত হয়, এতে ফরিদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনা ঘটে এবং উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।
এলাকাবাসী বলেন, কালিয়া থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হসপিটাল নিকটবর্তী হলেও আহত ফরিদ মোল্লাকে খুলনা হসপিটালে না নিয়ে নেওয়ার হয় নড়াইল সদর হাসপাতালে। কাজেই নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি না হলে, ফরিদ মোল্লাকে রেফাট করা হয় খুলনা হসপিটালে।
ফলে তার পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয় এবং অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয় তাল বাহানা করে।
এই খুনের জের ধরে সাবেক বাবরা হাচলা ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা, বর্তমান বাবরা হাচলা ইউনিয়নের নব্য বিএনপি সভাপতি কাঞ্চনপুর গ্রামের ছোরাব শেখের ছেলে পিকুল শেখ, কাঞ্চনপুর গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ টি বসতবাড়ি ও দোকান ঘরের মালামাল লুট শেষে পেট্রোল ঢেলে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে সেটা গাঁজা ও ইসরাইল এর ধংসযোগ্য ও বর্বরতাকে হার মানিয়েছে এমনটা অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর এলাকাবাসীর অভিযোগ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি। এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাঞ্চনপুর গ্রামের (১) শরিফুল মোল্লা (২)হাবিবুর মোল্লা(৩) আজিজুর মোল্লা ও (৫) সিরাজ শেখের বাড়িতে নব্য বিএনপি পিকুলের নির্দেশনায় প্রতিটা বসত ঘরের দামি জিনিস পত্র ,সোনা ,গহনা, নগত টাকা , জমির দলিল, স্কুলের বই খাতা ফ্রিজ ,মটর , টিউবওয়েল, পাওয়ায়টিলার, খাদ্য শস্য, তারা লুট করে নিয়ে গিয়ে প্রতিটা বসত বাড়িতে তারা পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় । এতে করে আধাপাকা ও টিন শেডের বাড়ি গুলো পুড়ে কয়লায় পরিনত হয়েছে ।
পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে চরম অনাহারে দিন পার করছে। কারো ঘরে নেই কোন খাবার বস্ত্র ও সুপ্রিয় পানি। এক পোশাকে তারা চারদিন পার করছে। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়াতে প্রতিটা বাড়ি রুপ নিয়েছে ভূতুড়ে অন্ধকারে। এমতাবস্থায় কাঞ্চনপুরের অসহায় এই পরিবার গুলো নড়াইল জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট জরুরী ত্রানের আহ্বান জানিয়েছেন।