নড়াইলের লোহাগড়ায় কথিত সাংবাদিক কাজী আশরাফ সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে কলুষিত করছে । এক সময়ের ঘড়ি মেরামতের মিস্ত্রি থেকে আজ অনৈতিকভাবে গড়া বিত্ত ও প্রভাবের জোরে নিজেকে জাতীয় সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার ব্যানারে সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছেন এই ব্যক্তি
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি করে বরাদ্দ লুটপাট ও সুকৌশলে আত্মসাৎ করা তার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা । তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আশরাফ নিজ নামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনটি প্রকল্পে সরকারি বরাদ্দ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম ব্যবহার করে ডিও লেটারের মাধ্যমে আরও ২ লাখ টাকার অনুদান হাতিয়ে নেন। ওই অর্থে রাজুপুর এলাকায় ১০০ ফুট রাস্তার কাজের নামে সামান্য কিছু মাটি ফেলে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন।
ভুয়া কার্ড তৈরি করে ভাতার টাকা আত্মসাৎ
সরকারি ভাতা ভোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতে ও পিছিয়ে নেই কথিত এই সাংবাদিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি বিভিন্ন দপ্তরে দালালি ও তদবিরের মাধ্যমে ভুয়া কার্ড তৈরি করে ভাতার টাকা আত্মসাৎ করছেন। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন কিছু দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা ।যাদের ‘ম্যানেজ’ করে দীর্ঘদিন ধরে এই অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল ও অনিবন্ধিত পোর্টালের অপব্যবহার করছেন কথিত এই সাংবাদিক ।কাজী আশরাফ পরিচালিত “আলোকিত ট্রিবিউন” নামে একটি অনলাইন পোর্টাল সম্পূর্ণ অনিবন্ধিত এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি আগে নিউজ বানিয়ে পরে সেই নিউজের লিংক দেখিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা তার মূল পেশাও নেশা। আওয়ামীলীগ সরকার শাসন আমলে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে তোষামোদ করে তিনি পৌর এলাকায় দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন । সাবেক বাড়ি নোয়াগ্রাম ইউনিয়নে হওয়াতে নিজের নামে বেনামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ ও জমিজমা
সাংবাদিকতার মুখে চুনকালি, লেপন করছেন এই সাংবাদিক নাম ধারি সাংঘাতিক। এজন্য প্রকৃত সাংবাদিকরা আজ অবহেলিত ও প্রশ্নবিদ্ধ।
যেখানে প্রকৃত ও নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিকরা আজও নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে কথিত সাংবাদিক আশরাফের মতো ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে সমাজে দুর্নীতি ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া এমন অপরাধীর দৌরাত্ম্য রোধ করা সম্ভব নয়।
সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন—এমন দুর্নীতিবাজ ও কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না নিলে সমাজে সাংবাদিকতার মত মহান পেশা কলুষিত হবে