বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান। তিনি জানান, বুধবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে গেটগুলো ৩ ফুট করে খোলা হয়েছে। এতে করে স্পিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে।
এছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল থাকায়, ইউনিটগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে মোট ৯০ হাজার কিউসেক পানি হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে।
ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান আরও জানান, পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় সোমবার মধ্যরাতে ৬ ইঞ্চি, দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেড় ফুট, তৃতীয় দফায় বুধবার দুপুর ১টায় আড়াই ফুট এবং সর্বশেষ বুধবার রাত ১১টায় ৩ ফুট জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পানির উচ্চতা আরও বাড়লে জলকপাট আরও খুলে দিতে হতে পারে।
পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ১১টায় হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৭৯ এমএসএল, যেখানে বাঁধের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।