পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে এসআইকে মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজের অভিযোগ পাবনা: পাবনা সদর থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে পাবনা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি জহুরুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে।

পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে এসআইকে মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজের অভিযোগ পাবনা: পাবনা সদর থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে পাবনা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি জহুরুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রি অফিসের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দানসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “আমি জীবনেও কারো কাছে এমন ব্যবহার আশা করিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এভাবে অপমানিত হতে হবে, তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। পাবনার সাংবাদিক মহলকে আমি সবসময় ভদ্র ও ভালো মানুষ হিসেবে জানতাম। কিন্তু প্রেসক্লাব সেক্রেটারির  আচরণ দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। আইনের একজন মানুষের সাথে এমন মারমুখী আচরণ কেউ করতে পারে, তা আমার ধারণার বাইরে ছিল।” স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, পাবনার রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চাঁদাবাজি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এসআই জাহাঙ্গীর  ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। অভিযোগ উঠেছে, পাবনা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি  জহুরুল ইসলাম ওই চাঁদাবাজি চক্রের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তিনি এসআই জাহাঙ্গীরকে তার কর্তব্য পালনে বাধা প্রদান করেন। এই ঘটনায় পাবনার সচেতন নাগরিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কোন ক্ষমতার বলে জহুরুল ইসলাম একজন সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে হেনস্তা করার সাহস দেখালেন? এ বিষয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  সাথে যোগাযোগ করলে  তিনি এই ঘটনা না জানার কথা বলে  এড়িয়ে যান।  এই ঘটনায় পাবনার সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত এই ঘটনার সত্যতা উদঘাটন এবং দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। অন্যথায়, আইনের রক্ষকদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে এবং সমাজে একটি ভুল বার্তা পৌঁছাতে পারে।