পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ( ২২ এপ্রিল ) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সদর উপজেলা) এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং - সিআর - ৩৫১/২৫। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানাকে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। জানা যায়, জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাগ ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মো. নুরুল আমিন ও তার দুই ভাই সহ গত ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার বানীপুর গ্রামে মামার বাড়ীতে অসুস্থ মামাকে দেখতে যাওয়াকালে গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছলে উক্ত গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে জাকির মিয়া (৩৫), আব্দুন নুর এর ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), রাজন মিয়া (২৩), মৃত ইছাক আলীর ছেলে মনু মিয়া (৪৫) মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে বদরুল (৫০), মৃত মাফিজ এর ছেলে আব্দুন নুর (৫৫),আব্দুন নুর এর ছেলে মারুফ (২৩) মিলে পূর্বপরিকল্পিত উপায়ে হাতে থাকা রামদা,লোহার রড,বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বাদী মো. নুরুল আমিন সহ তার ভাইদের উপর এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ওইসময় রাতে তাদের ঘরে আটক করে রাখে,বেধড়ক মারপিট করে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা সহ এন্ড্রয়েড ফোন নিয়ে যায়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাদেরকে আটক করে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মীয় স্বজন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানাকে জানায়। থানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এলাকাবাসী,ইউপি চেয়ারম্যান এবং থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপনি তাদেরকে ডাকাত বলে লাইভ করেছেন, মানহানী করেছেন,আপনি একজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে তাদেরকে ডাকাত বলে লাইভ করেছেন, তা কি ঠিক হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন লাইভ করা এবং তাদেরকে ডাকাত বলা আমার জন্য সঠিক ছিল, যেকারণে আমি লাইভ করেছি। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আতিকুর রহমান বলেন, মামলাটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন মহোদয় আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মনিবুর রহমান বলেন, আদালত থেকে মামলার কপি আমাদের কাছে এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।