সম্প্রতি নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উন্মুক্ত লটারি হয়। ডিলারশিপ প্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন। জানা গেছে, এবার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২০টি বিক্রয়কেন্দ্রের জন্য ডিলারশিপ পেতে মোট ৭৫ জন আবেদন করেছিলেন।
তবে আবেদনকারীদের পক্ষে বিভিন্ন দলের নেতাদের তদবিরের কারণে লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন ইউএনও। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে মোট ২০ জন ডিলার চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইউএনওর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।
ডিলারশিপপ্রত্যাশীরা বলেন, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায় যেকোনো ধরনের সরকারি ডিলার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেই তদবির করে থাকেন ক্ষমতাসীনরা।
আবার অনেক সময় লেনদেনও হয়। তবে এবার যেভাবে ডিলার নিয়োগ দিয়েছে, তাতে কোনো বিতর্ক নেই।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন, অনেক সময় ডিলার নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের কথা ওঠে। তাই ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্মুক্ত লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
আশা করি, নির্বাচিত ডিলাররা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির সুফল সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলোক কুমার ঘোষ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন, নগরকান্দা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শওকত আলী শরীফ, সরকারী এম এন একাডেমির সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম সাইয়াদুর রহমান বাবলু, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওনকআরা বেগম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী নিমেরী, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা রায়হানউদ্দীন মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নগরকান্দা খাদ্য গুদাম আশিকুর রহমান প্রমুখ।