ফেনীতে মুহুরী ও সেলোনিয়া নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমে যাওয়ার আভাস রয়েছে। সেইসঙ্গেএই জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি লাভ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ফেনী জেলার সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় মুহুরী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি লাভ করতে পারে। তবে এই অববাহিকায় আগামী তিনদিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উপকূলীয় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ বিরাজমান রয়েছে এবং এর প্রভাবে চার বিভাগে আগামী একদিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুদিন সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী একদিন পর্যন্ত পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

সিলেটে সুরমা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকলেও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং সিলেট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী দুদিন কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে, অপরদিকে আগামী তিনদিন সুরমা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী দুদিন নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।