৫ ই আগস্টে যখন ফ্যাঁসিবাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা সরকার তখন ছাত্র জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ঠিক তারপর থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে দূর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় জেল হাজতে কারাবাস সহ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে অনেক নেতা কর্মী।
তবে কিছু সংখ্যাক আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী নেতাকর্মীরা এখন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে । সম্প্রতি বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নতুন দলের আত্মপ্রকাশের পর থেকে, এ সকল নেতা কর্মীদের মধ্যে যেনো নতুন সূর্যের উদয় হয়েছে। তারা এখন নতুন দলে নাম লিখিয়ে তাদের অতীতের কর্মকান্ডে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথম সারিতে যে নামটি সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল ও আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলছে , তিনি হলেন নলদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ পাখি। তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৩ বারের চেয়ারম্যান। নিজের অতীত কর্মকান্ড ও অপরাধকে ডাকতেই তিনি সদ্য আত্মপ্রকাশে আসা জাতীয় নাগরিক পাটির (NCP) নড়াইল জেলা শাখার পরিচিত সভায় তিনি নিজের নাম লিখিয়ে প্রকাশে আসে।
সরজমিনে গিয়ে শোনা যায়, এলাকা বাসীদের এমনটি অভিযোগ এই পাখি চেয়ারম্যান ১৯৭১ সালে নলদি এলাকায় চিহ্নিত লুটেরাজ ও রাজাকার। ১৯৭১ সালের পরবর্তীতে এই আবুল কালাম আজাদ পাখি চেয়ারম্যানের হাত ধরেই নলদি ইউনিয়নে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আবির্ভাব ঘটে এবং নড়াইল জেলার সেকেন্ড ইন কমান্ডার হিসাবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়াতে রাতারাতি পাখি চেয়ারম্যান অঢেল সম্পদ ও টাকা পয়সার মালিক বোনে যায়।
এবং পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নলদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে তিনি নিজের নাম লেখায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নড়াইল জেলায় এসকল দুষ্কৃতকারী ও সুবিধাবাদী নেতাদের সনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করতে হবে প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর এমনটি দাবি।