রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২২) কে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।


বুধবার (০৬ আগষ্ট) রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন রাকিবুল ইসলাম রাব্বির পিতা বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ফজলুর রহমান মন্ডল।

মামলার আসামীরা হলো, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শালকী গ্রামের রবিউল খালাসীর ছেলে রিমা খাতুন (২০), মৃত খোরশেদ খালাসীর ছেলে রবিউল ইসলাম খালাসী (৫০), রবিউল খালাসীর স্ত্রী আয়শা বেগম (৪৫) ও নিশ্চন্তপুর গ্রামের মোঃ মনছের বিশ্বাসের ছেলে ফরিদ বিশ^াস (৩৫)।

মামলার অভিযোগে বলেন, রাকিবুল ইসলাম রাব্বির ২ বছর পূর্বে  রিমা খাতুনের সাথে বিবাহ হয়। তাদের ঔরসে একটি কন্যা সন্তান রোজা ( ৪মাস) জন্ম হয়। সৌদি আরব পাঠানোর জন্য এক বছর পুর্বে ৫লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিদেশ পাঠায় না। এ নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। প্রায় ৫ মাস পুর্বে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি বাড়ী থেকে রিমা খাতুনকে নিয়ে রবিউল খালাসীর বাড়ীতে উঠে। সেখানে থাকাকালে ফরিদ বিশ্বাসের সাথে রিমার অনৈতিক সম্পর্ক হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে। তাদের নিকট ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তারা হুমকি দেয় যে, বেশি বিদেশ পাঠানোর টাকা টাকা করলে ছেলেকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে মারবে। গত ৩০ জুলাই রাত ১০টা থেকে  ভোর ৫টার মধ্যে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভারী কোন অস্ত্র দিয়ে বুকে, পিঠে, পাসরে, মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। পরে গত ৩১ জুলাই সকালে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের শালকী গ্রামের শ্বশুর বাড়ীর ঘরে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রচার করে।  পরে তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়।

বালিয়াকান্দি থানার এসআই এবিএম সিদ্দিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ গোসলের সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ দেখতে পান। পরে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে মামলা দায়ের করে।

রাজবাড়ী আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কবির বলেন, বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।