ফাঁকা বেনাপোল চেকপোষ্ট। গভীর রাত থেকে বেনাপোল চেকপোষ্ট থাকত লোক সমাগম

ফাঁকা বেনাপোল চেকপোষ্ট। গভীর রাত থেকে বেনাপোল চেকপোষ্ট থাকত লোক সমাগম। যেখানে আসত দেশী বিদেশী পর্যটক সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ। অনেক আসত জীবন জিবীকার জন্য। এর মধ্যে কারো রয়েছে মানি চেঞ্জার, কেউ পরিবহন ব্্যবসা, কেউ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে পরিবার পরিজন চালায়।এপারে বেনাপোল  চেকপোষ্ট ও পারে ভারতের পেট্রাপোল  চেকপোষ্টকে  ঘিরে রয়েছে  কয়েক লক্ষ লোকের জীবন জীবিকার কর্মসংস্থান। এখানে সারাদনি চলত কর্মচঞ্চলতা। এখানে ভারত বাংলাদেশ গামী পাসপোর্ট যাত্রী সেবা ও কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ করে ল্যাগেজ সুবিধা অনুযায়ী পণ্য এনে অনেকের সংসার চলে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

এছাড়া বেনাপোলে কর্মরত সরকারী বিভিন্ন দফতর যেমন ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমস বিভাগ, হেলথ সেন্টার, বিজিবি সহ আরো কয়েকটি দফতর রয়েছে পাসপোর্ট যাত্রী দেখ ভাল করার দায়িত্বে। বর্তমানে যাত্রী শুন্যের কোটায় নেমে আসায় অলস বসে রয়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট ঘুরে দেখা যায়, একেবারে ভারত বাংলাদেশের দুপাশে ফাঁকা। যেখানে সারাদিন পরিবহন শ্রমিক, প্রাইভেড কার চালক, ইজিবাইক, রিক্সা ভ্যান চালক সহ নানা পেশার মানুষ চেকপোষ্টকে প্রানবন্ত করে রাখত, সেখানে একেবারে ফাঁকা। রৌদ্রে বসে বিজিবি সদস্যরা তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করেছে।

ভারত বাংলাদেশ এর বেনাপোল ও পেট্রাপোল চেকপোষ্টকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ। এসব এন্টারপ্রাইজ এর লোকজন মুদ্রাবিনীময় ব্যবসা, কেউ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী,কেউ হোটেল ব্যবসা সহ নানা ভাবে পাসপোর্টযাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। আবার পরিবহন সহ বিভিন্ন ছোট খাট পরিবহনেও রয়েছে কয়েকশত শ্রমিক। তারা পাসপোর্ট ভিসা না থাকায় বেকার হয়ে অলস জীবন যাপন করছে।
 
বাংলাদেশের ঠিকাদার ব্যবসায়ি জি এম আশরাফ বলেন, ভারত বাংলাদেশে যাতায়াত কারী অনেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের  উপর নির্ভরশীল। ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করায় দুই পারের অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
 
ওপরদিকে ভারতের পেট্রাপোলের  মুদ্রা, হোটেল ও পরিবহন  ব্যবসায়ি আলী হোসেন বলেন , ভারত সরকারের খামখেয়ালী পানার জন্য দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের উপর নির্ভরশীল ছিল এপারের মুদ্রব্যবসায়ি, পরিবহন, অটো, টোটো, ভ্যান রিক্সা সহ নানা ধরনের পরিবহন। আরো নির্ভরশীল রয়েছে চিকিৎসা খাত। বাংলাদেশী রোগি না আসায় বেসরকারী হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ হতে চলেছে। আবাসিক হোটেল সহ বিভিন্ন কাপড় ব্যবসায়িরা ও তাদের ব্যবসা গুটাতে শুরু করেছে।  বেকার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার যুবক। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। অনেকে আবার কাজ না থাকায় জুয়ার দিকে ঝুকে ও মাদক আসক্ত হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।  আমরা সীমান্ত বাসি এর প্রতিকার চাই। সরকার এদিকে কোন খেয়াল দিচ্ছে না।