নিহত বৃষ্টি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের জাকির শেখের মেয়ে। তার স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম শেখ (২৭) একই উপজেলার চরগোবরা গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। তাদের সাড়ে তিন মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়। তবে সাজ্জাদুল ইসলামের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা মোল্লাহাটে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। সাজ্জাদুল পেশায় দিনমজুর।
স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে পাঁচ হাজার টাকায় মোবাইল ফোন কিনে টিকটক ব্যবহার শুরু করেন বৃষ্টি। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন বিকেলে স্বামী মোবাইল বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বাজারে যান। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেটি বিক্রি না করে বাসায় ফিরে আসেন। এরপর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি। দরজার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন বৃষ্টি।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
তবে নিহতের পৈতৃক পরিবারের দাবি, বৃষ্টিকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফজলুল হক বলেন,
"প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি পরিবারের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"