বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রতিষ্ঠানজুড়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন জানান, “আমাদের এই সাফল্যের মূলমন্ত্র হল শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। শিক্ষার্থীদের বিশেষ যত্নে প্রস্তুত করা হয়, নিয়মিত হোম ভিজিট, গাইড টিচার এবং অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ নজরদারি করা হয়।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, “সারাদেশের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নাছিমা কাদির হাইস্কুল এন্ড হোমস আবারও দেশসেরা। মফস্বল শহরে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো ইনশাল্লাহ।”
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবারই পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের গৌরব ধরে রেখেছে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৩১৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই জিপিএ-৫ পায়।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং ১৬৪ জন তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকা কঠোর নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সফল শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আফ্রাদ ও শেয়শ্রী সরকার বলেন, “শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং বিদ্যালয়ের হোম ভিজিট প্রক্রিয়া আমাদের এ সাফল্য এনে দিয়েছে।”
নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস এখন শুধু নরসিংদী নয়, বরং দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনুকরণীয় নাম হয়ে উঠেছে।