সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবীতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়েছে ডোমার। এরেই অংশ হিসেবে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন সমুহ।
রবিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় খেকে তুহিনের মুক্তির দাবীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু ও সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিন করে ডোমার রেলগেট মোড়ে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করে বিএনপি নেতা তুহিনের মুক্তির দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন আমিন সুমনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে এ সময় উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইফতেখারুল আলম তিতুমীর, পৌর যুবদল সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম পাপ্পু, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব লোকমান হোসেন লাভলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইমরানুল হক, জাসাস আহবায়ক মুকুল সওদাগড়, কৃষক দলের আহবায়ক আফজাল হোসেন হিরো ও জিয়া পরিষদ আহবায়ক তমিজ উদ্দিন এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। প্রায় ১ কিলোমিটার মানববন্ধনে বিএনপির সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে অবিলম্বে ডোমারের কৃতি সন্তান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে আমাদের নয়নমনি ও উন্নয়নের কান্ডারি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে তুহিন ভাইয়ের সকল সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিতে হবে। আর যদি তুহিন ভাইকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে নীলফামারী জেলায় অবরোধসহ নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে । উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, তুহিন ভাই আমাদের গর্ব। আওয়ামী সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বাতিল করা হয়নি। তিনি অবিলম্বে তুহিন ভাইয়ের সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করে তার মুক্তির দাবী জানান।
বক্তারা অবিলম্বে তুহিনের মুক্তির দাবী করে বলেন, ৫ আাগষ্টের পর অনেক নেতার মামলা বাতিল হলেও তুহিন ভাইয়ের মামলা বাতিল করা হয়নি। তুহিন ভাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই সরকারের প্রতি আহবান তুহিন ভাইকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে দিতে হবে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে তা বাতিল করতে হবে।