শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। 

৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে একটি বনভোজনের বাসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করায়। ওই ঘটনায় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া থেকে এক যুবককে মারধর করা হয়, পরে বিষয়টি নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রথমে কান্দাশেরীরচরের যুবকরা ইভটিজিংকারী যুবককে মারধর করে, এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন হামলা চালালে সংঘর্ষের সূচনা হয়। 

এ সময় কুসুমহাটি বাজারের রাস্তায় আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়, এবং পলাশ টেলিকম ইত্যাদি ষ্টোর  নামের দুইটি দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কান্দাশেরীরচর গ্রামের ফারুক মিয়া (৩০), মজনু মিয়া (২৫), আব্দুল আলিম (২৬) সহ অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হন। এর ফলে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।