নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভার দৈলেরবাগ, চিলেরবাগ, হাতকোপা সহ আশেপাশের আরো তিন চারটি গ্রামের বসবাসকারীদের ঘুম হারাম করে ফেলেছে ধর্ষণ খুন সহ ডজন খানেক মামলার ফেরারি আসামি মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের হাবীবপুর গ্রামের আবু সাঈদের কুলাঙ্গার সন্তান পিয়েল ও তার বাহিনী।
দিনে রাতে প্রকাশ্যে দৈলেরবাগ ও চিলারবাগে নারী পুরুষ সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থসহ মালামাল লুট করে সর্বস্বান্ত করে এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।
জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এলাকাবাসী কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এমনকি থানা পুলিশকে জানাতেও ব্যর্থ হয় । থানা পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। ঘরে ঢুকে মালামাল লুট করে এলোপাতারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। লুটপাট ও মাদকের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে পিয়েল বাহিনী। মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হটস্পট এখন সোনারগাঁয়ের পৌরসভার দৈলেরবাগ।
তারাই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের নিরাপত্তাকর্মী হাসান কামরুল (৩২) পিএলবাহীনির হামলায় গুরুতর আহত হয়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে পৌরসভার দৈলেরবাগ গ্রামে পিএল এর প্রধান সহকারী সন্ত্রাসী ফরিদ ও তার সহযোগীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় ।
আহত হাসান কামরুল জানান, একটি বিশেষ কাজে রয়েল রিসোর্ট থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন । পথিমধ্যে চিলারবাগ গ্রামের মোমেনের দোকানের সামনে পৌঁছালে পিয়েল এর নেতৃত্বে ফরিদ সহ ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তার অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় তারা চাপাতি দিয়ে কামরুলের ওপর হামলা চালায়। তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে চাপাতির কোপে তার এক হাতের চারটি রগ কেটে যায়।
তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর আহত কামরুল সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।