আদালত জানতে পারেন এই একই ব্যক্তিকে এই ভাস্কর্যটি ভাঙার চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক নিদর্শন এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং সরকারি বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউব আরব শুক্রবার (১ আগস্ট) জানায়, এক সপ্তাহ আগে ওই ব্যক্তি ভাস্কর্যটির মুখটি ভেঙে ফেলেন।
এ ভাস্কর্যটি ‘আইন এল ফোয়ারা’ নামে পরিচিত। আলজেরিয়ায় যখন ফ্রান্সের ঔপনেবিশক শাসন চলছিল তখন এটি ফ্রান্স থেকে কিকদা শহরে আনা হয়। এরপর নেওয়া হয় সেতিফে। সেখানে ১৮৯৮ সালে এটি স্থাপন করা হয়। এটি বসানো হয় একটি প্রাকৃতিক ঝর্নার কাছে।
ভাস্কর্যটি স্থাপনের পেছনে রয়েছে ধর্ববিদ্বেষ
ইতিহাসবিদদের তথ্য অনুযায়ী, সেতিফ শহরে প্রাকৃতিক ঝর্নায় মুসল্লিরা ওজু করতেন। এতে করে তৎকালীন ঔপনেবিশক ফরাসি সরকার ক্ষুব্ধ হয়। মুসল্লিরা যেন ওজু করতে ঝর্নার কাছে না আসেন সেজন্য ভাস্কর ফ্রান্সিস দে সেইন্ট-ভিদালকে একটি নগ্ন নারীর ভাস্কর্য তৈরি করতে বলা হয়। পরবর্তীতে সেটি ঝর্নায় ওপর বসানো হয়।
এরআগেও এ ভাস্কর্যের ওপর হামলা হয়েছে। এমনকি বোমা হামলার ঘটনাও ঘটে। ২০০৬ সালে দেশটির কিছু এমপি মত দিয়েছিলেন ভাস্কর্যটি যেন কোনো জাদুঘরে রাখা হয়। কারণ নগ্ন আকৃতির হওয়ার অনেকের জন্যই অস্বস্তির কারণ ছিল।