হাজারো মানুষ গড়ার কারিগড় আমুরোড হাই স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন স্যার চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
(৪ আগষ্ট)সোমবার ভোরে সিলেটের মাউন্টএ্যাডোরা হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।তার ছেলে প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার গাজিউর রহমান রাসেল জানান,পেটে ব্যাথা অনুভব হলে তাকে সিলেট মাউন্টএ্যাডোরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন ছিলেন একজন সামাজিক রাজনৈতিক ও আদর্শ শিক্ষক।কোনদিন কাউকে কঠুকথা বলতে দেখা যায়নি।সদা হাস্যজ্জল ও নমনীয়তা ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।হাজারো মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যার শুধু শিক্ষক-ই ছিলেন না,তিনি আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন তথা চুনারুঘাটের বয়োজ্যষ্ঠ মুরুব্বী ছিলেন।৩৯ বছর শিক্ষকতা জীবন কাটিয়ে সদ্য অবসরে গিয়ে ছিলেন তিনি।তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম হেলথ ইন্সপেক্টর, একমাত্র পুত্র গাজিউর রাসেল প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও একমাত্র কন্যা তানিয়া স্বাস্থ্য সহকারী সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন ছিলেন আমুরোড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নের রূপকার।তার প্রচেষ্টায় আমুরোড হাই স্কুল এন্ড কলেজে ৪তলা বিশিষ্ট ২ টি বিল্ডিং নির্মিত হয়েছে।শুধু তাই নয় স্কুল এন্ড কলেজের বিশাল বাউন্ডারি একে একে সম্পন্ন করেছেন তিনি।
সিলেট এমসি কলেজের ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক জেবিন আক্তার গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেন,স্যারের অনুপ্রেরণা ও সাহসী মনোভাব পূর্ণ বক্তব্য আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছে।
অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন স্যারের মৃত্যুতে গভীর শোক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার রোজিনা আক্তার ও
সিনিয়র সহকারী জজ ইসরাত জাহান কলি।সোমবার আসরের নামাজের পর আমুরোড ঈদগাহ ময়দানে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।