গতকাল সকালে মাছ ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর উপজেলার শাহরামপুর গ্রামের মাছচাষি আবু তাহের (৭৫) গতকাল সকালে ২০ ড্রামভর্তি পাঙ্গাস মাছ টমটমে উঠিয়ে কটিয়াদী পৌরসভার চরিয়াকোনা স্বনির্ভর বাজারের মাছের আড়তে বিক্রি করতে নিয়ে আসার জন্য রওনা দেন। তিনি বাজিতপুর বাজারসংলগ্ন বড় ব্রিজ অতিক্রম করার সময় মফিজুর রহমান সুমন তার ৪-৫ জন সহযোগী নিয়ে গতিরোধ করে আবু তাহেরকে টমটম থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়। এরপর সুমন মাছের গাড়িটি স্বনির্ভর বাজারে মাছের আড়তে নিয়ে আসে।
মাছের মালিক আবু তাহের অন্য একটি গাড়িতে উঠে এসে স্বনির্ভর বাজারে তাদের দেখতে পেয়ে দ্রুত কটিয়াদী মডেল থানায় এসে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন। এসআই মাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মফিজুর রহমান সুমনকে আটক করলেও তার সহযোগীরা মাছের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা কটিয়াদী থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেনকে অবহিত করেন। বাজিতপুর থানার ওসি মুরাদ হোসেন এসআই শ্যামল দেবনাথকে পাঠিয়ে কটিয়াদী থানায় আটক মফিজুর রহমান সুমনকে বাজিতপুর থানায় নিয়ে আসে। মাছচাষি আবু তাহের জানান, আমার ২০ ড্রামভর্তি পাঙ্গাস মাছের গাড়িটি জোর করে সাবেক এমপির ছেলে সুমন ও তার সহযোগীরা নিয়ে যায়। কটিয়াদী থানা পুলিশ সুমনকে আটক করলেও আমি মাছ ফেরত পাইনি। বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির জানান, মফিজুর রহমান সুমন বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে। তিনি মাছের গাড়ি ছিনিয়ে নিয়েছি ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সকালে আবু তাহের নামে এক মাছচাষির মাছভর্তি গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে মফিজুর রহমান সুমন নামে একজনকে আটক করি। অভিযোগকারী ও আটক ব্যক্তি বাজিতপুর থানার হওয়ায় আটক সুমনকে বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে কটিয়াদী থানায় আটক মফিজুর রহমান সুমনকে বাজিতপুর থানায় নিয়ে এসেছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
