বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিবার, কুড়িগ্রাম জেলার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষারা বিভিন্ন দাবী সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র রায়ম, সহকারী শিক্ষক মো: আবু তৈয়ব, মো: শাহ্ আলম, রেজাউল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বৈষম্য নিরসন করে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে বক্তারা বলেন, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, অধিকার। কেননা ১৯৭৩ সালে ১ম পে স্কেলে ৬ষ্ঠ গ্রেড/২য় শ্রেণি হিসেবে ৫ টি পদের জন্ম হয়। ১৯৯৭ সাল অর্থাৎ ৫ম পে স্কেলের পূর্বে এই ৫ টি পদের মধ্যে সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটি বাদে বাকি ৪ টি পদকে সমসাময়িক সময়ে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করা হয়। অথচ তৎকালীন সময়ে সবগুলো পদের একই নিয়োগ যোগ্যতা (অনার্সসহ মাস্টার্স) হলেও সহকারী শিক্ষক পদটিকে দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড মর্যাদা দেয়া হয়। দুঃখের বিষয়, দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করাও হয়নি। ১৯৯৭ পরবর্তী দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০১২ সালে সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটিকে গেজেটেড মর্যাদা প্রদান করা হয়।
তারা আরো বলেন, চরম বৈষম্যের শিকার সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক পদটি। এই বৈষম্য নিরসনে সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটিকে গেজেটেড মর্যাদা অর্থাৎ এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রত্যয় নিয়ে আজকের মানববন্ধন। মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালে 'বিসিএস (শিক্ষাঃসাধারণ শিক্ষা) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলস-১৯৮০' এর মাধ্যমে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সালে বিসিএিস (সাধারণ শিক্ষা) নামে একটি বিসিএস (ক্যাডার) সৃষ্টি হয়। উক্ত ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত দুটি শাখা। একটি হচ্ছে কলেজ, অন্যটি হচ্ছে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখা। বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার অন্তর্ভুক্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কলেজ ও বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদসমূহকে আলাদা আলাদা বিনস্ত করতে বস্তুত এই দুটি শাখা তৈরি হয়। এক ক্যাডারের দুটি শাখায় শিক্ষক-কর্মকর্তার নিয়োগ যোগ্যতা (অনার্স সহ মাস্টার্স) একই হওয়ার পরেও সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড/১০ গ্রেড আর কলেজের ১ম শ্রেণির গেজেটেড/৯ম গ্রেড। পদোন্নতি ছাড়া অনেক সহকারী শিক্ষককে অবসারে যেতে হয়। এর জন্যে কলেজের মতো আমরা ৪ স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান চাই। উপযুক্ত পদসোপন থাকলে পদোন্নতির যথাযথ রাস্তা তৈরী হবে। এছাড়া এই ক্যাডারের হেড অফিস মাউসিতে মাধ্যমিক পরিচালনার জন্য কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই নগন্য অন্যদিকে কলেজে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। হেড অফিসের এই বৈষম্য নিরসন করে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাকে মানসম্মত পর্যায়ে নিয়ে যেতে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
কুড়িগ্রামে শিক্ষকদের একদফা দাবী বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
শেয়ার করুন

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড ধরে চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপানের কুড়িগ্রামে মানববন্ধন করেছে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।