জিতু কামালের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করার পর থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত বলে জানান দিতিপ্রিয়া। তিনি জানান, প্রোডাকশন টিম তাদের দু’জনকেই ছবি দিয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য। জিতু তেমনই একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা দিতিপ্রিয়ার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ ছিল না।
ভারতীয় গণমাধ্যমে অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় বলেন, ‘আমরা আসলে সকলেই ভাবি মেয়েদের কাজই হলো মুখ বুজে সব সহ্য করা। তাই এরকমটা তো করাই যায়। ইয়ার্কিটা কোথায় থামাতে হয় এটা যদি কেউ বুঝতে না পারেন, তা হলে খুব মুশকিল একসঙ্গে কাজ করা। আমি সবসময়ই আমার পার্সোনাল আর প্রফেশনাল জীবনটাকে আলাদা করে রাখতে চেয়েছি।’
তার কথায়, ‘প্রচারের স্বার্থে তৈরি করা খবর বাদ দিলে ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের নিয়ে কোনও গুঞ্জনও শুনতে পাবে না কেউ। আমার থেকে এত সিনিয়র একজনের থেকে আমি তো একটু কমফোর্ট জোন আশা করবই। সেখানে একজন সহ-অভিনেতা আমার সঙ্গে সেটে কথা বলেন না। জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেন আমার মাকে ভয় পান তাই।’
প্রেগন্যান্টের বিষয়ে উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যাকে পছন্দ করব না, তাকে মেসেজই বা কেন করব। ইন্ডাস্ট্রি বলে কি কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই? ইয়ার্কি মেরে ১৫ থেকে ১৬ বছরের ছোট কাউকে কি কখনও এ ভাবে প্রেগন্যান্ট কি না জিজ্ঞেস করা যায়? এই সত্যিগুলো বললে যদি কারও মনে হয় আমি ইয়ার্কি নিতে পারি না, তা হলে সত্যিই পারি না।’
এই অভিযোগের বিষয়ে জিতু বলেন, ‘ও একদমই বাচ্চা মেয়ে, অপরিণত এর থেকে বেশি কিছু এই মুহূর্তে আমার বলার নেই। এটা আমার মায়ের শিক্ষা, কাউকে কখনও অমর্যাদা করব না।’