বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছে।
আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জগামী একটি নাম্বারবিহীন লেগুনা এবং বিপরীতমুখী দিরাইগামী একটি অনটেস্ট সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
গাগলী গ্রামের আনজু মিয়ার বাড়ির সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দোয়ারাবাজার উপজেলার ঢুলপশী গ্রামের প্রতুল রঞ্জন চক্রবর্তীর ছেলে সিএনজি চালক প্রদ্যুৎ চক্রবর্তী (৩৫)। এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় দিরাই উপজেলার কাদিরপুর ধল গ্রামের হাসান আলীর চার মাস বয়সী কন্যা হুমায়রা বেগম।
আহতরা হলেন— দিরাই উপজেলার ভাঙ্গাডহর গ্রামের সারত দাসের ছেলে জ্যোতিষ দাস (২৬), একই উপজেলার সাদিরপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে হাসান (৩৫), কাদিরপুর ধল গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের মেয়ে সুফিয়া (১৮), শান্তিগঞ্জ উপজেলার বগলাখারা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩০), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়েজখালি গ্রামের মৃত শাহিদ মিয়ার ছেলে রুবেল (২৫) এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার আবরীপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৪০)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম আলী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর একটি শিশু মারা যায়। এছাড়া ছয়জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ঘাতক যান দুইটি জব্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।